সোনা কেলেঙ্কারির অভিযোগ সত্য নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনা কেলেঙ্কারির যে তথ্য সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়টি পরিষ্কার করতে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকেলে মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে সোনা কেলেঙ্কারির অভিযোগ সত্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে ছয়টি স্টেপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অটুট রয়েছে। সমস্যা যেটা দেখা গেছে সেটা হলো, এই সোনা যখন রাখা হয়েছিল তখনকার গুণগত মান নিয়ে। এই গুণগত মানের যে পার্থক্য তা হলো ৪০ এবং ৮০।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বর্ণকার যখন এটা পরীক্ষা করেছেন তখন ৪০ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা দেখেছেন কিন্তু লেখার সময় ৮০ হয়ে গেছে, এছাড়া কোনো ব্যতয় হয়নি।
এর আগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট কাস্টম হাউসের গুদাম কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ গোলাকার কালো প্রলেপযুক্ত একটি সোনার চাকতি এবং একটি কালো প্রলেপযুক্ত সোনার রিং বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ওই চাকতি এবং আংটি যথাযথ ব্যক্তি দিয়ে পরীক্ষা করে ৮০ শতাংশ (১৯ দশমিক ২ ক্যারেট) বিশুদ্ধ সোনা হিসেবে গ্রহণ করে প্রত্যয়নপত্র দেয়। কিন্তু দুই বছর পর পরিদর্শন দল ওই চাকতি ও আংটি পরীক্ষা করে তাতে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ (১১ দশমিক ২ ক্যারেট) সোনা পায়। আংটিতে পায় ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ সোনা (৩ দশমিক ৬৩ ক্যারেট)। ধারণা করা হচ্ছে ভল্টে রাখার পর এগুলো পাল্টে ফেলা হয়েছে।